বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
মোঃ আছাদুজ্জামান লিটন, শ্যামনগর প্রতিবেদকঃ
দেশের জন্য মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। অর্থনৈতিকভাবে একটি সমুদ্র সৈকত দেশের পর্যটনশিল্পকে সমৃদ্ধ করে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে সমুদ্র সৈকত গুলো। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ হলেও বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত দেশের দক্ষিণে রয়েছে বেশ কয়েককটি সমুদ্র সৈকত। তেমনি একটি সমুদ্র সৈকত সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত বিভাজনকারী নদী হাড়িয়াভাঙ্গার সন্নিকটে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত।এ সমুদ্র সৈকত কে ঘিরে এখানে গড়ে উঠছে নানা স্থাপনা। একটা সময় এই সমুদ্র সৈকত সবার কাছে অজানা থাকলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে পরিচিতি লাভ করছে। ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য খুব সহজে বিমোহিত করে এখানে আসা পর্যটকদের। সমুদ্রের গর্জনে কানপেতে প্রকৃতির সাথে যারা মিশে যেতে চান তাদেরকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়িয়া যাওয়ার পথে চোখে পড়বে প্রকৃতির নানা রূপ।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে এর অবস্থান। ভাগ্য ভালো থাকলে চলার পথে সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল ও হরিণের দেখা পেতে পারেন। সুন্দরবনের সবুজের রাজ্যে উঁকি দিবে ঝাকে ঝাকে বানর ,শুকরের দল সহ নানা পশুপাখি ও বৃক্ষরাজি। এখানে একটু খোজ করলেই পাবেন সুন্দরবনের খাঁটি মধু যা পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যেতে পারেন। সুন্দরবন পাশে হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত এক অন্যতম পর্যটন স্থান হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত এর সাথে খুব সহজেই যোগ করতে পারেন সুন্দরবন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA